ইলমের ফযিলাত ও আলেমের মর্যাদা

-হাবীবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল

إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد:

ইলমের গুরুত্ব ও ফযিলাত
১. ইলম অর্জনের মাধ্যমে উত্তম সম্পদ লাভের বিশেষ সুযোগ
সম্পদ অর্জনের প্রতি প্রতিটি মানুষেরই বিশেষ আগ্রহ থাকে। আর ইলম অর্জনের মাধ্যমে উত্তম সম্পদ লাভের বিশেষ সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে উকবা ইবন আমের রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنْ يَغْدُوَ كُلَّ يَوْمٍ إِلَى بُطْحَانَ أَوْ إِلَى الْعَقِيقِ فَيَأْتِيَ مِنْهُ بِنَاقَتَيْنِ كَوْمَاوَيْنِ فِي غَيْرِ إِثْمٍ وَلَا قَطْعِ رَحِمٍ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ نُحِبُّ ذَلِكَ قَالَ أَفَلَا يَغْدُو أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ فَيَعْلَمُ أَوْ يَقْرَأُ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ خَيْرٌ لَهُ مِنْ نَاقَتَيْنِ وَثَلَاثٌ خَيْرٌ لَهُ مِنْ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعٌ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَرْبَعٍ وَمِنْ أَعْدَادِهِنَّ مِنْ الْإِبِلِ
অর্থ : ‘‘তোমাদের কোন্ ব্যক্তির এটা পছন্দ যে, সে আল্লাহর অবাধ্যতা ছাড়াই এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট না করে বুতহান অথবা আকীক প্রান্তরে গিয়ে দু’টো বিশালকায় উট নিয়ে আসবে?’’ আমরা বললাম, আমাদের সবারই তা পছন্দ। তিনি বললেন, তোমাদের কেউ কোন সকালে মসজিদে গিয়ে আল্লাহর কুরআন হতে দু’টি আয়াত পড়ে না বা শিক্ষা দেয় না? তাহলে সেটি তার জন্য দু’টি উট লাভ করার চেয়ে উত্তম হবে। তিনটি আয়াত তিনটি উট অপেক্ষা উত্তম। চারটি আয়াত চারটি উট অপেক্ষা উত্তম। অনুরূপ আয়াতের সংখ্যা অনুপাতে উটের সংখ্যা অপেক্ষা উত্তম।” [সহীহ মুসলিম : ১৩৩৬]

২. উত্তম জিহাদ হল ইলম অর্জন
জিহাদ অর্থ প্রচেষ্টা চালানো । বর্তমান সময়ে জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হলে ইলম অর্জন খুবই জরুরী । আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জিহাদ হলো বিভিন্ন বিষয়ে ইলম অর্জন করা। এজন্য আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
فَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَجَاهِدْهُمْ بِهِ جِهَادًا كَبِيرًا
অর্থ : ‘‘সুতরাং তুমি কাফিরদের আনুগত্য করো না এবং তুমি কুরআনের সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম (জিহাদ) কর।’’ [সূরা আল-ফুরকান : ৫২] ইবনুল কায়্যিম রহ. কুরআনের সাহায্যে জিহাদ করাকে বড় জিহাদ বলে উল্লেখ করেছেন। [মিফতাহু দারিস সাআদা : ১/৭০] এ বিষয়ে আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
جَاهِدُوا الْمُشْرِكِينَ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ وَأَلْسِنَتِكُم
অর্থ: তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধে তোমাদের মাল,জীবন এবং ভাষা দ্বারা জিহাদ করো। [সুনান আবু দাউদ :২০৬]
৩. ইলম মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে
ইলম এমন একটি বিষয় যা মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে । এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
إِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ مِنْ قَبْلِهِ إِذَا يُتْلَى عَلَيْهِمْ يَخِرُّونَ لِلْأَذْقَانِ سُجَّدًا
অর্থ : ‘‘নিশ্চয় এর পূর্বে যাদেরকে ইলম দেয়া হয়েছে, তাদের কাছে যখন এটা পাঠ করা হয় তখন তারা সিজদাবনত হয়ে লুটিয়ে পড়ে।” [সূরা বনী ইসরাঈল : ১০৭]

৪. আমল করার পূর্বে ইলম অর্জন অপরিহার্য
আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদেরকে তার ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর তাই ইবাদাত পালনের পূর্বে এ বিষয়ে ইলম হাসিল করা জরুরী। তা নাহলে সহীহভাবে ইবাদাত পালন করা যাবে না। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مُتَقَلَّبَكُمْ وَمَثْوَاكُمْ

অর্থ : ‘‘অতএব জেনে রাখ, নিঃসন্দেহে আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই। তুমি ক্ষমা চাও তোমার ও মুমিন নারীÑপুরুষদের ত্র“টি-বিচ্যুতির জন্য। আল্লাহ তোমাদের গতিবিধি এবং নিবাস সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।” [সূরা মুহাম্মদ : ১৯]

৫. ইলম অর্জন জান্নাতে যাওয়ার পথে সহায়ক
জান্নাত হল মুত্তাকীনদের জন্য পরকালের আসল নিবাস। যা আল্লাহ তা‘আলা সৎকর্মশীলদের জন্য পুরস্কার হিসেবে প্রস্তুত রেখেছেন। একজন মুসলিমের জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো জান্নাত পাওয়া । আর ইলম হাসিলের মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার পথ সহজ হয়ে যায়। মা আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ: أَوْحَى إِلَيَّ أَنَّهُ مَنْ سَلَكَ مَسْلَكًا فِي طَلَبِ الْعِلْمِ: سَهَّلْتُ لَهُ طَرِيقَ الْجَنَّةِ،
অর্থ : ‘‘আল্লাহ আমার প্রতি ওহী করেছেন, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনে কোনো রাস্তা অবলম্বন করে, আমি তার জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেই।” [বাইহাকী, শু‘আবুল ঈমান : ৫৩৬৭, সহীহ সনদে বর্ণিত]

৬. ইলম অর্জন করা ফরয
দীন ও দুনিয়া যাই হোক না কেন, ইলম ব্যতীত মানুষ কোন কিছুই অর্জন করতে পারে না। দীন ও দুনিয়ায় সফলতা লাভ করতে চাইলে ইলম অর্জ অতি জরুরী। তাই ইলম অর্জনকে ইসলামে ফরয করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ : طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ
অর্থ : আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইলম অণে¦ষণ করা প্রত্যেক মুসলিমের ওপর ফরজ। [সুনান ইবনে মাজাহ]

আলিমের মর্যাদা
১. আলিমগণ নবীগণের ওয়ারিশ
আল্লাহ তা‘আলার বান্দাদের মধ্যে প্রিয় হচ্ছেন নবীগণ। একজন সত্যিকারের আলিম নবীদের উত্তরাধীকারী হিসেবে মর্যাদা পাবার অধিকারী। এটি কতইনা সৌভাগ্যের বিষয়। তাইতো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলিমের মর্যাদা সম্পর্কে ইরশাদ করেন,
إِنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاءِ إِنَّ الأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلاَ دِرْهَمًا إِنَّمَا وَرَّثُوا الْعِلْمَ فَمَنْ أَخَذَ بِهِ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ
অর্থ : ‘‘আলিমগণ নবীদের উত্তরাধিকারী, আর নবীগণ দিরহাম ও দিনারের (বৈষয়িক কোনো সম্পদের) উত্তরাধিকার রেখে যাননি। তাঁরা উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে গেছেন ইলম। অতএব যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করেছে, সে বিপুল অংশ লাভ করেছে।’’ [সুনান আবু দাউদ : ৩৬৪৩]
২. মৃত্যুর পরও আলিমের আমল জারী থাকে
মানুষ মৃত্যুবরণ করার সঙ্গে সঙ্গে তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আলিমের আমল জারী থাকে। একজন আলিম জীবিত অবস্থায় ইলম বিতরণ করার কারণে অনেকে উপকৃত হয়েছেন, সেজন্য মৃত্যুবরণ করেও তার সওয়াব পাবেন তিনি। এ বিষয়ে আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَشْيَاءَ : مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ.
অর্থ : ‘‘মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি উৎস থেকে তা অব্যাহত থাকে : সাদাকায়ে জারিয়া, উপকারী ইলম অথবা নেক সন্তান যে তার জন্য দু‘আ কর।’ [সহীহ মুসলিম : ৪৩১০]
৩. আলিমের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়
কুরআর-সুন্নাহর ইলমে সমৃদ্ধ ব্যক্তির জন্য বড়ই সুসংবাদ যে, তাঁর জন্য আল্লাহর নিকট সকলেই দু‘আ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে। যেমন আনাস ইবন মালেক রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
صَاحِبُ الْعِلْمِ يَسْتَغْفِرُ لَهُ كُلُّ شَيْءٍ حَتَّى الْحُوتُ فِي الْبَحْرِ .
অর্থ : ‘ইলমের অধিকারী ব্যক্তির জন্য সব কিছুই মাগফিরাত বা ক্ষমা প্রার্থনা করে। এমনকি সমুদ্রের মাছ পর্যন্ত।’’ [সহীহ মুসনাদ আবী ই‘আলা : ২/২৬০; সহীহ জামে‘ সগীর : ৩৭৫৩ কানযুল উম্মাল : ২৮৭৩৭]
৪. আলিমদের বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুপারিশ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুপারিশ লাভ করা অতি সুভাগ্যের বিষয়। এটা সকলের ভাগ্যে জুটে না। কিন্তু আলিমদের বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুপারিশ রয়েছে। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ قَالَ : سَيَأْتِيكُمْ أَقْوَامٌ يَطْلُبُونَ الْعِلْمَ ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمْ فَقُولُوا لَهُمْ : مَرْحَبًا مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ ، وَاقْنُوهُمْ.
অর্থ : ‘‘অচিরে তোমাদের সমীপে ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে নানা দল আসবে। তোমরা যখন তাদের দেখবে, বলবে স্বাগতম, স্বাগতম হে ওই সম্প্রদায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদের ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন। অতপর তোমরা তাদের ইলম শেখাবে।’’ [ইবন মাজা : ২৪৭, ‘হাসান’ সূত্রে বর্ণিত]

আলিমের পিতা-মাতার মর্যাদা
ইলম এমন একটি ফযিলাতপূর্ণ বিষয় যারাই এর সাথে সম্পৃক্ত হবেন, তারাই মর্যাদার অধিকারী হবেন। আলিম হওয়ার ক্ষেত্রে পিতা-মাতার অবদান অনেক। সেজন্য আলিমের পিতা-মাতা পিতা-মাতার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। সেগুলো হলো:
১. পিতা-মাতা পথপ্রদর্শনকারী হিসাবে সওয়াব পাবেন :
পিতা-মাতা সন্তানকে আলিম বানানোর জন্য লালন-পালন, অর্থ ব্যয় ও সময়দানসহ সামাজিক নানা প্রতকুলতা উপেক্ষা করে দীনি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে থাকেন। এর কারণে আলিম সন্তান যত ভাল কাজ করবেন, তার সওয়াবের অনুরুপ সওয়াব ভাল কাজের পথপ্রদর্শনকারী হিসাবে পিতা-মাতা পাবেন বলে হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। আবু মাসউদ আল-আনসারী রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ
অর্থ: “ভাল কাজের পথপ্রদর্শনকারী এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ সাওয়াব পাবে” [সহীহ মুসলিম : ৫১৩১]।
২. আলিমের পিতা-মাতার চক্ষু শীতল হবে:
একজন ইমানদার ব্যক্তি আল্লাহর নিকট দুআ করে নেক সন্তানের জন্য, যাকে দেখলে তার প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। আর সত্যিকার একজন আলিম সন্তানের পক্ষেই সেটা সম্ভব। কুরআন মাজীদে এ দিকেই ইঙ্গিত দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
অর্থ : এবং যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য আদর্শস্বরূপ কর। [সূরা :আল-ফুরকান : ৭৪]
৩. আলিমের পিতা-মাতা নেক সন্তানের কারণে মৃত্যূর পর ছাওয়াব পাবেন :
নেক সন্তান বলতে ইমানদার সন্তান রেখে যাওয়া। যারা মাতা-পিতা বেচে থাকা অবস্থায় তাদের অনুগত যেমনটি ছিল, তাদের মৃত্যুর পরও তারা মাতা-পিতার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। যা একজন আলিম সন্তানই বেশি করে থাকে। আবু উমামাতা রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
أَرْبَعَةٌ تَجْرِى عَلَيْهِمْ أُجُورُهُمْ بَعْدَ الْمَوْتِ مُرَابِطٌ فِى سَبِيلِ اللَّهِ وَمَنْ عَمِلَ عَمَلاً أُجْرِىَ لَهُ مِثْلُ مَا عَمِلَ وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَجْرُهَا لَهُ مَا جَرَتْ وَرَجُلٌ تَرَكَ وَلَدًا صَالِحًا فَهُوَ يَدْعُو لَهُ.
অর্থ: মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর ৪ টি আমলের সওয়াব অব্যাহত থাকে: ১.যে ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত পাহারা দিল তার সওয়াব ২. ভাল কাজ চালু করার ফলে তাকে যারা অনুসরন করল তার সওয়াব ৩. যে ব্যক্তি এমন সদকাহ করলো, যা প্রবাহমান থাকে তার সওয়াব, ৪.এমন নেক সন্তান রেখে যাওয়া- যে তার জন্য দোয়া করে [মুসনাদ আহমাদ: ২২২৪৭]। এ বিষয়ে আরো হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : تُرْفَعُ لِلْمَيِّتِ بَعْدَ مَوْتِهِ دَرَجَتُهُ . فَيَقُولُ : أَيْ رَبِّ ، أَيُّ شَيْءٍ هَذِهِ ؟ فَيُقَالُ : وَلَدُكَ اسْتَغْفَرَ لَكَ.
অর্থ: আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মৃত্যুর পর কোন বান্দাহর মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। তখন সে বলে হে আমার রব, আমিতো এতো মর্যাদার আমল করিনি, কীভাবে এ আমল আসলো ? তখন বলা হবে, তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় এ মর্যাদা তুমি পেয়েেেছা” [আলআদাবুল মুফরাদ:৩৬]।
৪. আনুগত্যশীল সন্তানের পিতা-মাতা হওয়ার গৌরব অর্জন :
প্রত্যেক পিতা-মাতাই চান যে, সন্তানেরা তাদের অনুগত হবে, খেদমাত করবে,তাদের সাথে নম্্র ব্যবহার করবে। একজন আলিম যেহেতু কুরআনের ধারক-বাহক, তাই এমন কাঙ্খিত সন্তান আলিমের পক্ষেই হওয়া বেশি সম্ভব। কেননা কুরাআনুল কারীমে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا-وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
অর্থ : তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা। তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন। [সূরা বনী ইসরাঈল : ২৩-২৪]

আলিমের বৈশিষ্ট্য
আলিমদের মর্যাদাকে যেমনিভাবে সমুন্নত করা হয়েছে, তেমনিভাবে তাদের বেশ কিছূ বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। আর সেগুলো হলো:
১. কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়া
একজন আলিম অবশ্যই কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবেন। তা নাহলে তিনি দীন ও দুনিয়ার সমস্যার সঠিক সমাধান দিতে পারবেন না। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ
অর্থ : “অবশ্যই আল্ল¬াহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যে তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করে আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা ইতঃপূর্বে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিল।” [সূরা আলে-ইমরান : ১৬৪]
২. দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে সমাধান দেয়ার যোগ্যতা থাকা
একজন আলিম অবশ্যই কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে কথা বলবেন। মিথ্যা, বানেয়াট অবিশ্বাস্য কল্প-কাহিনী বলা থেকে সর্বদা বিরত থাকবেন। এ বিষয়ে জাবির বিন আবদুল্লাহ রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসে রাসূলূল্লাহ সাল¬াল¬াহু আলাইহি ওয়াসাল¬াম বলেছেন,
إِنَّ خَيْرَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ وَخَيْرَ الْهَدْي هَدْيُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم
অর্থ : “নিশ্চয় আল্লাহর কথা হলো উত্তম কথা, আর মুহাম্মাদ সাল¬াল¬াহু আলাইহি ওয়াসাল¬ামের দেখানো পথ হলো উত্তম পথ ।” [সহীহ মুসলিম : ১৪৩৫]
৩. বক্তব্য অনুযায়ী আমল করা
ইলমের সাথে আমল একান্ত আবশ্যক বা অপরিহার্য্য। ইলম ব্যতীত আমল এবং আমল ব্যতীত ইলম কোনটাই উপকারী নয়। যে ইলমের সাথে আমল নেই, তা অজ্ঞতার পর্যায়ভূক্ত। একজন আলিমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তিনি যা বলবেন তার উপর আমল করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِمَ تَقُولُونَ مَا لَا تَفْعَلُونَ – كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللَّهِ أَنْ تَقُولُوا مَا لَا تَفْعَلُونَ
অর্থ : “হে ঈমানদারগণ, তোমরা তা কেন বল, যা তোমরা কর না? তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর নিকট বড়ই ক্রোধের বিষয়।” [সূরা আসসফ : ০২]

৪. সুন্নাহর বাস্তব নমুনা হিসেবে পেশ করা
পোশাক-পরিচ্ছেদ, দাড়ি, চলা-ফেরা কথা-বার্তাসহ সকল কাজে একজন আলিম নিজেকে সুন্নাহর বাস্তব নমুনা হিসেবে উপস্থাপন করবেন। এ বিষয়ে কুরআন মাজীদে স্পষ্ট ঘোষণা এসেছে,
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا
অর্থ : ‘‘এবং রাসূল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও।” [সূরা আল-হাশর :৭]
عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ مِنْ بَعْدِي وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ ”
অর্থ : ‘‘তোমাদের উচিৎ আমার সুন্নাত এবং খুলাফায়ে রাশিদিনের সুন্নাতকে অনুসরণ করো [শরহে মুশকিলুল আসার:১১৮৬]
বাংলাদেশে যোগ্য আলিমের প্রয়োজনীয়তা
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ, আমাদের গর্ব। এই দেশেই প্রায় ১৬ কোটি মানুষের বসবাস। অধিকাংশ মানুষই ইসলাম প্রিয়। কিন্তু এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, বিভিন্ন সংস্থা ও মিডিয়ার ভূমিকায় দিন দিন মানুষ ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। বিশেষ করে মোবাইল ও ইন্টারনেটের সংস্কৃতি যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে ইসলাম থেকে দূরে সরানোর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানাবিধ অপকৌশল। তাই নানাবিধ কারণে যোগ্য আলিমের প্রয়োজনীয়তা অনস্বিকার্য।
১. জাতিকে সজাগ সতর্ক করা
বর্তমান এই বিশ্বের পেক্ষাপটে মুসলিম জাতি আজ নানাভাবে দীন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় একদল যোগ্য আলিমের খুবই প্রয়োজন। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
فَلَوْلَا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
অর্থ : “অতঃপর তাদের প্রতিটি দল থেকে কিছু লোক কেন বের হয় না, যাতে তারা দীনের গভীর জ্ঞান আহরণ করতে পারে এবং আপন সম্প্রদায় যখন তাদের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে, তখন তাদেরকে সতর্ক করতে পারে, যাতে তারা (গুনাহ থেকে) বেঁচে থাকে।” [ সূরা আত-তাওবাহ : ১২২]
২. দীন শিক্ষা দেয়া
আল্লাহ তা‘আলা দীন শিক্ষা করাকে ফরয করে দিয়েছেন। আর ঈমান, সালাত, সিয়াম, হাজ্জ, যাকাতসহ দীনের বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা করার জন্য আলিমদের নিকটই যেতে হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মুয়ায বিন জাবালকে ইয়ামানে পাঠঅলেন, তখন বললেন,
إِنَّكَ تَقْدَمُ عَلَى قَوْمٍ أَهْلِ كِتَابٍ فَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ عِبَادَةُ اللهِ فَإِذَا عَرَفُوا اللهَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِهِمْ وَلَيْلَتِهِمْ فَإِذَا فَعَلُوا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ زَكَاةً مِنْ أَمْوَالِهِمْ (زَكَاةً تُؤْخَذُ مِنْ أَمْوَالِهِمْ) وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ فَإِذَا أَطَاعُوا بِهَا فَخُذْ مِنْهُمْ وَتَوَقَّ كَرَائِمَ أَمْوَالِ النَّاسِ
অর্থ : “তুমি এমন এক কাওমের কাছে যাচ্ছ যারা আহলে কিতাব। [যারা কোন আসমানী কিতাবে বিশ্বাসী] সর্ব প্রথম যে জিনিসের দিকে তুমি তাদেরকে আহ্বান জানাবে তা হচ্ছে, “লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহুর সাক্ষ্য দান।” অন্য বর্ণনায় আছে, আল্লাহর ওয়াহদানিয়্যাত বা একত্ববাদের স্বীকৃতি প্রদান। এ বিষয়ে তারা যদি তোমার আনুগত্য করে তবে তাদেরকে জানিয়ে দিও যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তারা যদি তোমার কথা মেনে নেয় তবে তাদেরকে জানিয়ে দিও যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর যাকাত ফরয করে দিয়েছেন, যা বিত্তশালীদের কাছ থেকে নিয়ে গরীবদেরকে দেয়া হবে। তারা যদি এ ব্যাপারে তোমার আনুগত্য করে তবে তাদের উৎকৃষ্ট মালের ব্যাপারে তুমি খুব সাবধানে থাকবে।” [সহীহ বুখারি : ১৪৫৮]
৩. মাসআলা-মাসআলা জানা
একজন ঈমানদারের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই প্রয়োজন নানাবিধ বিষয়ের সমাধান। আর এ সমাধানের জন্য আলিমের বিকল্প নেই। এ প্রসঙ্গে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল র. বলেন
الناس محتاجون إلى العلم أكثر من حاجتهم إلى الطعام والشراب لأن الطعام والشراب يحتاج إليه في اليوم مرة أو مرتين ، والعلم يحتاج إليه بعدد الأنفاس”مفتاح دار السعادة” (১/৬৫-৬৬)
অর্থ : “মানুষ প্রতিদিন এক বা দুবার খাবার ও পান করার প্রতি মুখাপেক্ষী হয়, কিন্তু প্রতিক্ষণেই ইলমের প্রতি ধাপিত হতে হয়।” [মিফতাহু দারুস সাআদাহ ,১/৬৫-৬৬]
৪. জান্নাতের পথে চলা
একজন ঈমানদার বান্দার জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো জান্নাত। আর জান্নাতে যাওয়ার সঠিক পথ কোনটি তা জানার জন্য আলিমের প্রয়োজন। আর জান্নাতে পথে চলার ঘোষণা দিয়ে কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
قُلْ أَؤُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرٍ مِنْ ذَلِكُمْ لِلَّذِينَ اتَّقَوْا عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَأَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ وَرِضْوَانٌ مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ
অর্থ : “বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়েও উত্তম বস্তুর সংবাদ দেব? যারা তাকওয়া অর্জন করে, তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয় নহরসমূহ। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর পবিত্র স্ত্রীগণ ও আল্ল¬াহর পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি।’’ আর আল্ল¬াহ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। [সুরা আলে-ইমরান : ১৫]
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ইলম অর্জনের তাওফীক দিন । আমীন ।

Leave a comment